পশ্চিম আফ্রিকার গিনি-বিসাউয়ের ক্যান্টানহেজ ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জিদের উপর গবেষণা চালাচ্ছেন ব্রিটিশ গবেষকদের একটি দল। গবেষণার অংশ হিসেবে শিম্পাঞ্জিদের আবাসস্থলে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য দেখে গবেষকরা রীতিমতো বিস্মিত হন। দেখা যায়, শিম্পাঞ্জিরাও ‘অ্যালকোহল পার্টি’ করে এবং অ্যালকোহলযুক্ত ফল একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে খায়।
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, শিম্পাঞ্জিদের আফ্রিকান ব্রেডফ্রুট খাওয়ার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, যেখানে ইথানলের উপস্থিতি ছিল। পরে ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিম্পাঞ্জিরা মানুষের মতোই আনন্দ পেতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশনের গবেষক আনা বোল্যান্ড বলেন, মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল সেবনে ডোপামিন এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয়, যা সুখ এবং প্রশান্তি এনে দেয়। ভোজ বা মদ ভাগাভাগির মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, বন্য শিম্পাঞ্জিরাও ইথানলযুক্ত ফল খাচ্ছে এবং তা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, তারা কি মানুষের মতোই একই অনুভূতি পায়?
গবেষকরা আরও জানান, শিম্পাঞ্জিরা সবসময় খাবার ভাগ করে না। কিন্তু ইথানলযুক্ত ফলের ক্ষেত্রে তাদের এই ভাগাভাগি আচরণটি উল্লেখযোগ্য। এটি শিম্পাঞ্জিদের সামাজিক আচরণ এবং খাবার-ভোজের বিবর্তনীয় ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইথানলযুক্ত ফল খোঁজে কি না এবং শরীরে তা কীভাবে প্রক্রিয়াজাত করে, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।