অনেকে মনে করেন পেস্তা খেলে শরীর মোটা হয়ে যায় বা পেট খারাপ হতে পারে। আবার খোসা ছাড়ানোর ঝামেলার কারণেও অনেকে এ বাদাম খেতে চান না। অথচ বাস্তবে পেস্তা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, বরং রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। এজন্যই পুষ্টিবিদরা নিয়মিত ডায়েটে পেস্তা রাখার পরামর্শ দেন।
পেস্তা বাদামে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে থাকা পলিফেনল ও টোকোফেরল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি।
এটি কম ক্যালোরি ও উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পেস্তা খাদ্যনালীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়, ফলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে ও পেট পরিষ্কার হয়। নিয়মিত পেস্তা খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরল কমায়।
পেস্তা রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়ামের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা রক্তনালীর সংকোচন ও প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৫৬ গ্রাম পেস্তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।