কভিড-১৯ ও মার্কিন নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে পূর্বে নিষিদ্ধ হওয়া কনটেন্ট নির্মাতাদের পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জিম জর্ডানকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মুক্ত মতপ্রকাশের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব নির্মাতাকে পূর্বে নীতি ভঙ্গের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই নীতিগুলো আর কার্যকর নেই, তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। তবে কারা কবে ফিরবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অ্যালফাবেট আরও জানিয়েছে, তারা ইউটিউবে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে মূল্যায়ন করে এবং গণতান্ত্রিক আলোচনায় এসব কণ্ঠস্বরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউটিউব থেকে নিষিদ্ধ হন সাবেক এফবিআই কর্মকর্তা ড্যান বংগিনো, হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা সেবাস্টিয়ান গোরকা এবং পডকাস্টার স্টিভ ব্যানন। অ্যালফাবেট অভিযোগ করেছে, বাইডেন প্রশাসন তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপে চাপ সৃষ্টি করেছিল। এমনকি হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বারবার কভিড-১৯ সম্পর্কিত কিছু কনটেন্ট অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন, যদিও সেগুলো কোম্পানির নীতি ভঙ্গ করছিল না।
২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সরাতে আহ্বান জানিয়েছিল। তবে অ্যালফাবেট স্পষ্ট করেছে, ইউটিউব ফ্যাক্ট-চেকারদের কোনো কনটেন্ট সরানো বা লেবেল করার ক্ষমতা দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না।
এ বিষয়ে জিম জর্ডান এক্সে লিখেছেন, তাদের প্রচেষ্টার ফলেই ইউটিউব রাজনৈতিক বক্তব্যে সেন্সরশিপ শিথিল করছে। তার ভাষায়, “আমেরিকানদের আর বলা হবে না, কী বিশ্বাস করতে হবে আর কী নয়।”