ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার কাজ হলো বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা রক্তে সরবরাহ করা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করে দেওয়া। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে জমে থাকা ধোঁয়া ও টক্সিন নানা রোগের জন্ম দেয়। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে ফুসফুসকে অনেকটাই পরিষ্কার রাখা সম্ভব।
১. যোগ ব্যায়াম ও গভীর শ্বাস
প্রতিদিন প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া ও যোগ ব্যায়াম অভ্যাসে পরিণত করলে শরীর নিজেই বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে এবং শরীর ও মন সজীব থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরচর্চা করা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি।
২. পুদিনা ও তুলসী পাতার উপকারিতা
ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে পুদিনা, তুলসী ও বাসক পাতার রস বিশেষ কার্যকর। এগুলোর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও জীবাণুনাশক গুণাগুণ ফুসফুসকে করে মজবুত ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. ডায়েটে আনারস ও ফলমূল
ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল রাখা প্রয়োজন। আনারস, পেয়ারা ও স্ট্রবেরির মতো ফল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ফুসফুসকে করে আরও কার্যকর।
৪. আদার রসের গুণ
প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে আদা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর জীবাণুনাশক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান কাশির উপশম ঘটায় ও মিউকাস পরিষ্কার করে। কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া বা রস করে খাওয়ায় দ্রুত আরাম মেলে।
৫. গাজরের রস
গাজরের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং ফুসফুসকে করে পরিষ্কার ও কর্মক্ষম। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস খেলে শরীর থাকে হালকা, ক্লান্তি কমে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৬. লেবুর রস
প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর শরবত ফুসফুসের জন্য হতে পারে উপকারী অভ্যাস। এতে থাকা ভিটামিন সি ফুসফুসকে সংক্রমণ ও দূষণ থেকে রক্ষা করে এবং শরীর রাখে সতেজ ও সজীব।
৭. গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের নালী পরিষ্কার করে এবং দেহের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ফুসফুস থাকে মজবুত ও সুস্থ।
৮. দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার শ্বাসনালিতে লালা জমিয়ে দেয়, যা ফুসফুস পরিষ্কারে বাধা সৃষ্টি করে। তাই এই ধরনের খাবার পরিহার করাই উত্তম। ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি।