রাজশাহীতে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিলেন সুমাইয়া খাতুন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে তিনি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন, যার একটি দেহ হলেও মাথা রয়েছে দুটি। শিশুটির বাবার নাম গোলাম আযম। তাদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে সুমাইয়াকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সফলভাবে প্রসব সম্পন্ন হলেও নবজাতকের গঠন দেখে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে শিশুটি রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর রায় জানান, এটি যমজ শিশু নয় বরং একটি বিরল জন্মগত ত্রুটি। শিশুটির শরীর ও যৌনাঙ্গ একটি হলেও রয়েছে দুটি পূর্ণাঙ্গ মাথা, যার ফলে মুখমণ্ডলও দ্বিগুণ—চারটি চোখ, চারটি কান, দুটি নাক ও দুটি মুখ রয়েছে।
ডা. শংকর আরও বলেন, “এ ধরনের শিশু অত্যন্ত বিরল, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে dicephalic parapagus. এখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব শিশুটির প্রাণ রক্ষা করা। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এই ঘটনাটি কেবল পরিবারের জন্য নয়, সারা দেশের মানুষের মনোযোগ কেড়েছে। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা আর সবার দোয়া মিলেই শিশুটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।