দাবানলের ভয়াবহতা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার নতুন বিপদের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। রবিবার, ৪ মে থেকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে টানা ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিকেলের দিকে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় রূপ নেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা গেছে, এই বৃষ্টিপাত ও বন্যায় দক্ষিণ ইসরায়েলের জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইলাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের প্রধান প্রবেশপথসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। একইসঙ্গে জনগণকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের আরেকটি শহর দিমোনাতে ঘটেছে রেকর্ড পরিমাণ বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কিবুৎজ সামারে ৩৪ মিলিমিটার (১.৩ ইঞ্চি) এবং কিবুৎজ ইয়োতভাতায় ১৭ মিলিমিটার (০.৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ইসরায়েল পুলিশ জানায়, বন্যাজনিত পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জনগণকে প্লাবিত সড়ক, পাহাড়ি ঝরনা ও জলাশয়ের আশপাশে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেন, এসব এলাকা অতিক্রমের চেষ্টা জীবন হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিৎজপে র্যামন থেকে কেতুরা জংশন, আইন গেদি থেকে হা’আরাভা জংশন হয়ে ইলাত পর্যন্ত রুট এবং ইলাত শহরের সংযোগস্থলগুলো।
এর আগে ইসরায়েলের বনাঞ্চল ও প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকায় বেশ কয়েকটি দাবানল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। সেই ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বন্যা জনদুর্ভোগকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।