প্রোমোশনের উদযাপন বলতে আমরা সাধারণত বুঝি ট্রফি, পুষ্পমালা বা আর্থিক বোনাস। তবে বুলগেরিয়ান ফুটবলে এবার উদযাপনের ধরন ছিল একেবারেই ব্যতিক্রমী—দলকে শীর্ষ বিভাগে তুলেই কোচ পেলেন আস্ত একটি ভেড়া!
ডব্রুজা ফুটবল ক্লাবের কোচ আতানাস আতানাসভ এই ব্যতিক্রমী পুরস্কার পেয়েছেন তার দলকে ২২ বছর পর বুলগেরিয়ান ফার্স্ট ডিভিশনে তুলে আনার জন্য। ঐতিহাসিক এই অর্জনে আতানাসভের দল লিটেক্স লোভেচকে ২-০ গোলে পরাজিত করে, যেখানে মৌসুমের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রোমোশন নিশ্চিত হয়।
ডব্রিচ শহরে তখন শুরু হয় উদ্দীপনার বন্যা। আগেই শোনা গিয়েছিল, যদি দলটি প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠে যায়, তবে কোচ আতানাসভকে ভেড়া উপহার দেওয়া হবে। সমর্থকেরা সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন, আর কোচও সেই ‘উপহার’ গ্রহণ করে ভেড়াটি এক বন্ধুর জিম্মায় দিয়েছেন, দেখভালের জন্য।
এ ধরনের ব্যতিক্রমী পুরস্কার অবশ্য এবারই প্রথম নয়। নরওয়েতেও এমন নজির আছে—ব্রিন ফুটবল ক্লাবের হেইনে আসেন লারসেন হ্যাটট্রিক করার পর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন ২৩ কেজির একটি শুকর!
তবে ডব্রুজার এই প্রোমোশন কেবল রঙিন কাহিনিই নয়, ফুটবলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনও বটে। কারণ, লিটেক্স লোভেচ হলো বুলগেরিয়ার অন্যতম সফল ক্লাব, যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে কেবল সিএসকেএ সোফিয়া, লেভস্কি সোফিয়া ও লুদোগোরেতসের পেছনে রয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, লুদোগোরেতসের বিপক্ষেই ২০১৬–১৭ মৌসুমে মেসুত ওজিলের সেই চোখ ধাঁধানো গোলটি এসেছিল, যা এখনো ফুটবলপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে। সেই ম্যাচেই ওজিলের ক্যারিয়ারের একমাত্র হ্যাটট্রিকও এসেছিল।
সব শেষে বলা যায়—সফলতা উদযাপনের পন্থা যতই অদ্ভুত হোক না কেন, আতানাসভ ও ডব্রুজা ক্লাবের গল্প ফুটবলের সেই চিরন্তন সত্যই আবারও প্রমাণ করল—এই খেলায় আবেগ, ভালোবাসা ও পাগলামির কোনো সীমানা নেই!