গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নান সম্প্রতি চরম এক ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। তার বাড়িতে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালু থাকে। অথচ জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা!
মো. মান্নান জানান, তার স্ত্রীর নামে পল্লী বিদ্যুতের একটি মিটার রয়েছে। তিনি প্রবাসে থাকেন। রোববার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পৌঁছে দেন, যেখানে বিলের পরিমাণ লেখা ছিল ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ এপ্রিল মাসে বিল এসেছিল মাত্র ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা এবং জুন মাসে ১২৬ টাকা।
এমন অস্বাভাবিক বিল পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন মান্নান। তিনি বলেন, “এটা কেমন কথা! এখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্যারদের পেছনে ঘুরে বেড়াতে হবে। আমরা গরিব মানুষ, এটা মারাত্মক হয়রানি। এত টাকার বিল শুনেই মাথা ঘুরে গেছে। সারাজীবনে এত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সম্ভব না।”
বিষয়টি জানার পর ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম জানান, এটি নিঃসন্দেহে ভুল বিল। বিষয়টি নজরে এসেছে এবং দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।