বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রবল রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ভোলা জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৪ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ মোকাবিলায় ভোলায় ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগে সাড়া দিতে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ে ১৩,৮০০ সেচ্ছাসেবক এবং ৯৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দুর্যোগ পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী—এই তিন ধাপে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শুকনো খাবার, চাল, শিশু খাদ্য মজুত রাখা হয়েছে এবং সকল সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিশেষভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২৯১ টন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পাঁচ লাখ টাকার শিশু খাদ্য মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং ঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা পুনরায় নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।