গাজা অভিমুখে নতুন করে আরও ১১টি জাহাজ যাত্রা করেছে। ইসরায়েল প্রথম দফায় ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ বহরের জাহাজগুলো আটকে দিলেও, আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ এখনও হাল ছাড়েনি। সংস্থাটি জানায়, বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে এই নতুন জাহাজগুলো গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
এফএফসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইতালির ওট্রান্টো থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালীয় ও ফরাসি পতাকাবাহী দুটি নৌকা যাত্রা শুরু করে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ‘কনসায়েন্স’ নামের একটি জাহাজ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এভাবে মোট ১১টি জাহাজ গঠিত হয়েছে, যেগুলো খুব শিগগির গাজার জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করবে।
শুক্রবার জানা গেছে, এই জাহাজগুলো “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা” নামক আরও একটি ৮-নৌকার বহরের সঙ্গে মিলিত হবে। পরে তারা একটি সমন্বিত বহর গঠন করে একসাথে গাজার দিকে এগিয়ে যাবে। এই নৌকাগুলোর ভেতরে রয়েছেন প্রায় ১০০ জন অধিকারকর্মী, যারা জানিয়ে দিয়েছেন—তাদের আটক করা না হলে তারা পিছু হটবেন না।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এর আগেও বহুবার গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ ‘ম্যারিনেট’ নামের একটি নৌযান গাজার উপকূলে পৌঁছালে, সেটিতে ইসরায়েলি কমান্ডোরা জোরপূর্বক প্রবেশ করে সকালের দিকে সেটি আটক করে। সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, সেনারা নৌযানে উঠে মানবাধিকার কর্মীদের আটক করছে।
এই বহরে ৪০টিরও বেশি নৌযান ছিল, যাতে শত শত আন্তর্জাতিক কর্মী অংশ নেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা। প্রথম দফায় তারা ব্যর্থ হলেও, নতুন করে শুরু হওয়া এই ১১টি জাহাজের যাত্রা তাদের লড়াইয়ের প্রতি আন্তর্জাতিক সহানুভূতির প্রতিফলন।