ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় চলন্ত বাসে তৃতীয় লিঙ্গের কিছু ব্যক্তি প্রতিনিয়ত যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছেন। এই কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যাত্রীদের সম্মুখীন হতে হয় হেনস্তা, অশালীন ভাষা, এমনকি শারীরিকভাবে বিব্রতকর আচরণেরও।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসে উঠে পড়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা নানা অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। কেউ দিতে না চাইলে শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি, গালাগালি এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার মতো অপমানজনক কাজ। যাত্রীরা লজ্জা ও নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেন।
শুধু যাত্রীরাই নয়, বাসের চালক ও হেলপাররাও এদের অত্যাচারে ভীত। চালক শামীম হোসেন জানান, তারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা দল বেঁধে চড়াও হন এবং হুমকি দেন গায়ে হাত তোলার ও গাড়ি ভাঙচুরের। এমন পরিস্থিতিতে কেউ আর প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।
এ বিষয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এক সদস্য জানান, তারা কালু নামের এক সর্দারের অধীনে এই কাজ করেন এবং সেটিই তাদের পেশা। যাত্রীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) মো. রবিউল হাসান বলেন, “চাঁদাবাজি একটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”