ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ভারতে। খবর পেয়ে সৌদি আরবে অবস্থানরত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর সংক্ষিপ্ত করে রাতেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা মোদিকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন।
এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদিকে ফোন করে সমবেদনা জানান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এক এক্স বার্তায় জানান, ট্রাম্প এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কাশ্মীর থেকে বিরক্তিকর খবর পেয়েছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা দৃঢ়ভাবে ভারতের পাশে আছে। নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন ও গভীর সহানুভূতি রয়েছে।’
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরান উপত্যকায় মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলায় সরকারি হিসাবে ২৬ জন নিহত হলেও স্থানীয় কিছু সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা ২৯ জন পর্যন্ত হতে পারে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈসরান ভ্যালির উপরের মাঠে গুলির শব্দ শোনা যায়। দুর্গম এই এলাকায় সাধারণত পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা সাধারণ পোশাকে মিশে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
হামলার পরপরই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন যেকা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিংহ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি নলিন প্রভাত। এছাড়া কিছু সেনা কর্মকর্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন। অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের তাদের জঘন্য কাজের কঠিন মূল্য দিতে হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।