ওজন কমাতে চান? তাহলে ডায়েট, ব্যায়াম বা নানা রকম খাবারের চেষ্টার পাশাপাশি খাবারের ধরনেও আনতে হবে সচেতনতা। পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের আশপাশেই এমন কিছু সহজলভ্য সবজি রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়—বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে এগুলোর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। নিচে তেমন কিছু উপকারী সবজির কথা দেওয়া হলো—
শসা:
শসা শুধু শরীর ঠান্ডা রাখে না, এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি এবং ক্যালরি খুবই কম। ফলে পেট ভরলেও শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে না। এছাড়া শসা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। গরমে বা হালকা খাবারে এটি দারুণ সঙ্গী হতে পারে।
গাজর:
গাজরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অথচ ক্যালরি খুবই কম। নিয়মিত গাজর খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, ফলে অযথা বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এ কারণেই গাজরকে ওজন কমানোর জন্য কার্যকর সবজি হিসেবে ধরা হয়।
করলা:
তেতো হলেও করলা একটি সুপার ফুড। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। নিয়মিত করলা খেলে ধীরে ধীরে পেটের মেদও কমে যায়। করলার জুস করেও এটি খাওয়া যায়।
ব্রকলি:
ফাইবারসমৃদ্ধ ব্রকলি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে পেটের নিচে জমে থাকা ভিসেরাল ফ্যাট কমাতে এটি বেশ কার্যকর। সালাদ, স্যুপ বা হালকা ভেজে খেলেও ব্রকলি উপকার দেয়।
ফুলকপি:
ফুলকপিতে ক্যালরি কম কিন্তু ফাইবারের পরিমাণ অনেক। এটি সহজেই পেট ভরায় এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রেখে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।
পালংশাক:
পুষ্টিতে ভরপুর পালংশাকে রয়েছে ‘থাইলাকয়েড’ নামের একটি উপাদান, যা ক্ষুধা ৯৫% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। নিয়মিত পালংশাক খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এটি সালাদ, স্মুদি বা রান্না করা অবস্থায় খাওয়া যায়।
লাউ:
লাউয়ে পানির পরিমাণ অনেক এবং ক্যালরি খুবই কম। তাই এটি ওজন কমাতে কার্যকর। এটি পেট ভরায়, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। বিশেষ করে গরমের দিনে লাউ হতে পারে আদর্শ হালকা খাবার।
সবশেষে মনে রাখতে হবে—ওজন কমানো মানেই না খেয়ে থাকা নয়, বরং বুদ্ধিমানের মতো খাবার বেছে নেওয়া। এই সহজলভ্য সবজিগুলো নিয়মিত খেলে শরীর থাকবে হালকা, পেট থাকবে ঠিক, আর মেদও কমবে ধীরে ধীরে।