ভালো ঘুম শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো ঘুমের জন্য শুধু সময় নয়, ঘুমানোর ভঙ্গিটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের অভ্যাস ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে—কেউ চিৎ হয়ে, কেউ পাশ ফিরে, আবার কেউ উপুড় হয়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত। যদিও উপুড় হয়ে ঘুমানো অনেক সময় আরামদায়ক মনে হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই ভঙ্গিটি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উপুড় হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড, ফুসফুস এবং অন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হতে পারে, ফলে ঘুমের গুণমান হ্রাস পায় এবং শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না।
এছাড়াও, এই অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা দেখা দিতে পারে। মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত হয়, যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং শরীরে ক্লান্তি বা বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর আরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন, কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং মুখের ত্বক সরাসরি বালিশের সঙ্গে ঘষা খায়, যা ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নির্জীব করে তোলে। নিয়মিত এইভাবে ঘুমালে ত্বক হারায় স্বাভাবিক জৌলুস ও উজ্জ্বলতা।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, উপুড় হয়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত। তুলনামূলকভাবে চিৎ হয়ে ঘুমানো ভালো, তবে সবচেয়ে উপকারী হলো পাশ ফিরে ঘুমানো। এটি শরীরের স্বাভাবিক কাঠামো রক্ষা করে এবং ঘুমের মান বাড়ায়।