চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনলো চীনের গবেষকরা। এবার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ মেরামত বা পুনর্গঠনের জন্য আর অস্ত্রোপচার, ইমপ্লান্ট বা ব্যথানাশক ইনজেকশনের প্রয়োজন নেই। কেবল ত্বকে লাগানো এক টুকরো নমনীয় বায়ো-প্যাচ-ই যথেষ্ট, যা বাইরে থেকে ভেতরের ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গে পাঠাবে নির্ভুল আরোগ্য সংকেত।
চীনের উদ্ভাবিত এই বায়ো-প্যাচ-টি তৈরি হয়েছে ন্যানোফাইবার ও বায়োইলেকট্রিক সার্কিট দিয়ে, যা ত্বকে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। এটি কোষ পুনর্জন্মকে উদ্দীপিত করে, ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সহায়তা করে এবং শরীরের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেয়।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো — এটি ওয়্যারলেস, বায়োডিগ্রেডেবল, এবং পুরোপুরি অপারেশনবিহীন।
এই প্রযুক্তিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা দেখছেন একটি সম্ভাব্য “প্যারাডাইম শিফট” হিসেবে। ভবিষ্যতে হয়তো অ্যাম্বুলেন্সে সার্জারি সরঞ্জামের বদলে থাকবে এই প্যাচ, যা জরুরি রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে পারবে। দুর্ঘটনার পর কিংবা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা থেকে সেরে উঠতেও এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
শুধু ট্রমা কেয়ার নয়, এই প্যাচ ভবিষ্যতে হৃদরোগ, স্নায়বিক অবক্ষয়, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া এমনকি জটিল অভ্যন্তরীণ রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হতে পারে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে এই উদ্ভাবন হতে পারে ভবিষ্যতের নন-ইনভেসিভ হেলথকেয়ার-এর ভিত্তি, এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ ও নিরাপদ পথচলার সূচনা।