হজযাত্রীদের মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে দেশে এবং সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। এ সেন্টারের মাধ্যমে হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো, অসুস্থতা, সমস্যা সমাধান, অভিযোগ নিষ্পত্তি, প্রশ্নের উত্তর প্রদান এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের জন্য একটি আধুনিক অ্যাপ চালু করা হবে। ঢাকায় বসেই এই অ্যাপের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের মনিটর করা যাবে।
চলতি বছরের হজে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি এড়াতে হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ডেবিট কার্ড চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি হাজিরা সৌদি আরবে সহজেই আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। একইসঙ্গে কম খরচে মোবাইল ফোন রোমিং সুবিধাও নিশ্চিত করা হচ্ছে, ফলে আর আলাদা করে সিম কিনতে হবে না। লাগেজ ট্র্যাকিংয়ের জন্য লাগেজে ইলেকট্রনিক চিপ বসানো হবে এবং কল সেন্টার থেকে তা মনিটর করা যাবে।
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও অ্যাপের উদ্বোধন করবেন। অ্যাপটির মাধ্যমে বাংলা ভাষায় রিয়েল-টাইম নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করা হবে। হাজিরা প্রতিদিনের করণীয়, যাতায়াতের নির্দেশনা, দোয়া পাঠ এবং পবিত্র স্থানগুলোর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া, অসুস্থ হলে কল সেন্টারের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ সম্ভব হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ জানায়, অ্যাপটি হজযাত্রীদের যাত্রার আগে, যাত্রার সময় এবং ফিরে আসার পরও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। সরকার-সমর্থিত ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে হজযাত্রীরা বিদেশের স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবেন, যা নগদ অর্থ হারানোর ঝুঁকি কমাবে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালন করবেন। হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর এবং ভিসা ইস্যু শুরু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। হজ ফ্লাইট শুরু হবে ২৯ এপ্রিল। এ বছর হজ কার্যক্রমে ৯৪১টি হজ এজেন্সি অংশ নিয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজ-১ এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।