যুক্তরাষ্ট্রে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অন্তত এক হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যার ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে হঠাৎ করেই তাদের আইনি অবস্থান বাতিল করা হয়েছে। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, মেরিল্যান্ড ও ওহাইও স্টেটসহ ১২৮টিরও বেশি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। ইনসাইড হায়ার এডুকেশন-এর তথ্যমতে, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩০০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও সদ্য গ্র্যাজুয়েটের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ ছিল না। কখনো কখনো শুধুমাত্র অতীতের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করেই তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। আবার অনেকে ভিসা বাতিলের কারণই জানেন না।
নিউ হ্যাম্পশায়ার, জর্জিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলাগুলোতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, এটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অলিখিত নীতির মাধ্যমে সংগঠিত গণবাতিলের অংশ। মিশিগানের আইনজীবীরাও একই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, ওহাইও স্টেটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট ও অভিবাসন নথি সাথে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ম্যাসাচুসেটস বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মার্সেলো সুয়ারেজ-ওরোজকো জানান, দুজন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন সাবেক শিক্ষার্থীর বৈধ অবস্থান বাতিল করা হয়েছে।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের মিশেল মিটেলস্টাট মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী নীতির প্রভাব এখন শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ছে। আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশনের সারা স্প্রেইটজার সতর্ক করেছেন, আইসিইর অভিযান ও নির্বাসনের হুমকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে।