ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর মাংস ঘরে ঘরে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণত স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মাংস খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এর সঙ্গে থাকে বিভিন্ন তৈলাক্ত ও অতিমসলাযুক্ত খাবার, যা হজমের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলস্বরূপ বদহজম, গ্যাস, পেট ফাঁপা, আমাশয়, ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংসে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও চর্বি থাকায় এটি হজমে স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময় নেয়। তবে কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং এর ফলে মাংস খাওয়ার পর হজমজনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
পেঁপে এমন একটি ফল, যাতে রয়েছে ‘প্যাপেইন’ নামক হজমকারী এনজাইম, যা মাংস হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সালাদ হিসেবে বা খাবারের সঙ্গে পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, আনারসে থাকে ‘ব্রোমেলেইন’ নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের পরে আনারস খাওয়া হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এছাড়া, দই বা দই-জাতীয় খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হজমের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, বিশেষ করে মাংসজাতীয় খাবার হজমে দই বেশ কার্যকর।
খাবারের সঙ্গে কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে বোরহানি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। বোরহানিতে থাকা বিভিন্ন মসলা ও উপাদান হজমে সহায়তা করে। তবে হজম সমস্যা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় কিংবা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।