মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হৃদপিণ্ড। তবে আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাবে দিন দিন এ অঙ্গটি হয়ে পড়ছে দুর্বল। মানুষকে হৃদযন্ত্রের যত্ন ও সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে এ দিবস।
এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— “প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের গুরুত্ব দিন”। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (প্রকাশ ২০২৪) অনুযায়ী, দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো হৃদরোগ। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশই হচ্ছে হৃদরোগে। এর মধ্যে ১৭.৪৫ শতাংশের কারণ হার্ট অ্যাটাক এবং আরও ৩.৬৭ শতাংশের কারণ অন্যান্য হৃদরোগ। অর্থাৎ, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর মধ্যে একটি ঘটছে হৃদরোগে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় ৩১ শতাংশ হৃদরোগজনিত কারণে ঘটে। উন্নত জীবনযাত্রার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অসচেতনতার কারণে বাংলাদেশেও হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, শিশু-কিশোরদের মাঝেও হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।
মানুষকে হৃদপিণ্ডের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৯৯৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন একসঙ্গে প্রতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরকে “বিশ্ব হার্ট দিবস” হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়, যা আজও বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে।