আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম এখন থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন—এমনটাই নিশ্চিত করেছে ফিফা। মঙ্গলবার, ৬ মে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা তাকে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র প্রদান করে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলে যুক্ত হলো এক নতুন সম্ভাবনার নাম।
২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এরই মধ্যে পাসপোর্টসহ সব আন্তর্জাতিক কাগজপত্র ঝড়ের গতিতে সম্পন্ন করেছেন। ১ মে তিনি কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশন থেকে আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র হাতে পান। এরপর দিনই টরন্টোয় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই-কমিশনের কনস্যুলেট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন এবং মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তার ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়।
পাসপোর্ট ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ আবেদন করা হয় ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। যাচাই-বাছাই শেষে ফিফা তাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার পূর্ণ অনুমতি দেয়।
সামিত সোমের বাবা-মা দুজনই বাংলাদেশি। যদিও তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়, তবুও হৃদয়ে সবসময়ই বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু করার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি ইতোমধ্যে কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং বর্তমানে খেলছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল কালাভরি এফসি-তে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সামনে রয়েছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেখানে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিত সোমকে প্রথমবারের মতো দেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে—এমনটাই জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ সূত্র।
তবে এটি শুধুমাত্র একজন প্রবাসী ফুটবলারের সংযুক্তি নয়, বরং বাংলাদেশের ফুটবলে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার নতুন এক সংযোজন। কোচিং স্টাফ ও সমর্থকদের জন্য আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো, তারা পাচ্ছেন এমন একজন মিডফিল্ডার, যার মধ্যে রয়েছে পেশাদারিত্ব, আন্তর্জতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ও প্রতিভা।
বাংলাদেশের ফুটবলে যখন সাফল্যের ঘাটতি প্রকট, তখন হামজা ও সামিত সোমের মতো খেলোয়াড়দের আগমন হতে পারে আশার আলো। এখন দেখার বিষয়, দেশের জার্সিতে তার অভিষেক দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।