বাংলাদেশ মহাকাশ অনুসন্ধানে নিরাপদ, দায়িত্বশীল এবং মানবতার উপকারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাসার আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।
৮ এপ্রিল,২০২৫ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন দেশের পক্ষে আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে নাসার অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক জানেট পেট্রো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। পেট্রো একটি প্রাক-রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
নাসার প্রশাসক জানেট পেট্রো বলেন, “বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত মহাকাশ অনুসন্ধানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে আমাদের চাঁদে যাওয়া এবং পরবর্তী মহাকাশ অভিযানে শান্তি, টেকসইতা এবং স্বচ্ছতা থাকবে। আমরা একে অপর থেকে শিখতে এবং একসাথে কাজ করতে আগ্রহী, এবং বাংলাদেশের অসাধারণ প্রতিভা ও দৃষ্টিভঙ্গি মহাকাশের পরবর্তী অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের অর্ডারসে স্বাক্ষর দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশের মহাকাশ অনুসন্ধানের ওপেন, দায়িত্বশীল এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে।”
২০২০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, নাসা এবং সাতটি অন্যান্য দেশের প্রথম স্বাক্ষরকারী দল আর্মিটাস অর্ডারস প্রতিষ্ঠা করে। এটি মহাকাশ অনুসন্ধানে নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য একটি কার্যকর নির্দেশিকা প্রদান করে। বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
আর্টেমিস অ্যাকর্ডস- আউটার স্পেস ট্রিটি, রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন এবং রেসকিউ অ্যান্ড রিটার্ন চুক্তি সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি। এটি মহাকাশে সুরক্ষা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেরা চর্চা এবং নীতি গড়ে তোলে।
বাংলাদেশের আর্টেমিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তি মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি দেশের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।