বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঘিরে আশার বার্তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা গত অর্থবছরের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি। এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসা এবং ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয় বৃদ্ধিই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এর আগে, গত সপ্তাহে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল যে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেম বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই জোরালো প্রস্তুতি নিতে হবে। এই উত্তরণ অনেক সুযোগ নিয়ে আসবে, তাই সরকারকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং বেসরকারি খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে হবে।”
বিশ্বব্যাংকের মতে, বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা শক্ত অবস্থানে থাকবে। তবে আমদানি স্বাভাবিক হলে চলতি হিসাবের ঘাটতি আবারও দেখা দিতে পারে।
সংস্থাটি আরও জানায়, সংস্কারের ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী অর্থবছরে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তবে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে যে, অর্থনীতিতে কিছু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য অস্থিরতা এবং সংস্কার কার্যক্রমে বিলম্ব।