বলিউডে কিছু সেলিব্রেটি বিবাহবিচ্ছেদ সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ঘটে, আবার কিছু বিচ্ছেদ শিরোনাম হয় তিক্ততা এবং বিপুল অঙ্কের আর্থিক নিষ্পত্তির কারণে। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম কইমই বলিউড ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছয়টি বিবাহবিচ্ছেদের তথ্য প্রকাশ করেছে।
হৃতিক রোশন ও সুজান খান ছিলেন শৈশবের প্রেমিক-প্রেমিকা এবং ২০০০ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দাম্পত্য ২০১৪ সালে ভেঙে যায়। শোনা যায়, এই বিচ্ছেদে হৃতিক সুজানকে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছেন। আলাদা হওয়ার পরও তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
আমির খান ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০০২ সালে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। জানা যায়, আমির প্রায় ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন রীনার হাতে, যাতে সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে। বিচ্ছেদের পরও দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে।
আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরা ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৬ সালে তারা আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন এবং ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। এই বিচ্ছেদ থেকে মালাইকা পান ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা অ্যালিমনি।
সঞ্জয় দত্তের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন মডেল রিয়া পিল্লাই। ২০০৮ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। শোনা যায়, রিয়াকে সঞ্জয় একটি বড় অঙ্কের অ্যালিমনি দিয়েছেন। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের দুটি সমুদ্র-তীরবর্তী ফ্ল্যাট এবং একটি গাড়ি দিয়েছেন, যাতে রিয়া আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকেন।
কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর ২০০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য কলহের কারণে ২০১৪ সালে তারা আলাদা হন। কারিশমা পেয়েছিলেন প্রায় ১৪ কোটি টাকার বন্ড, মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল বাড়ি এবং সন্তানের দেখাশোনার জন্য একটি বড় অঙ্কের অর্থ।
সাইফ আলি খান ১৯৯১ সালে ১২ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিম। ১৩ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০০৪ সালে তারা আলাদা হন। শোনা যায়, সাইফ অমৃতাকে ৫ কোটি টাকা দেন এবং ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মাসে ১ লাখ টাকা ভরণপোষণ দিতেন।
এই ছয়টি বিচ্ছেদ বলিউডের ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদের ইতিহাসে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।