ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ—আইপিএল। বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর শুক্রবার (৯ মে) ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই গোটা আসর স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ছোড়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করার পর ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের উদ্বেগ মাথায় রেখেই বিসিসিআই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিসিসিআই একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় আবেগ ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা—এই দুই দিক বিবেচনা করেই আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি।’
এর আগে ধর্মশালার আকাশপথ বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর জটিলতা আরও বাড়ে। খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সবাইকে হোটেলে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পরদিন বিশেষ ট্রেনে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘সব দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেডিয়াম খালি করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ দেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
লখনৌতে অবস্থানরত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে, গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আগেই দিল্লি ও আহমেদাবাদে পৌঁছে গেছে।
বিদেশি খেলোয়াড়রা বিসিসিআই ও ভারত সরকারের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। যদিও সরাসরি আইপিএলের কোনো ভেন্যু হুমকির মুখে ছিল না, তবে সার্বিক সতর্ক অবস্থার প্রেক্ষিতে আসর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন সবার নজর বিসিসিআই’র পরবর্তী ঘোষণার দিকে। চলতি আইপিএল আসর আবার শুরু হবে কিনা, নাকি পুরোপুরি বাতিল করা হবে—তা নির্ভর করছে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর।