মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি করতে ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ইউটিউব। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল। এ ঘটনার জের ধরেই মামলা হয়, আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই সমঝোতা হলো। খবর—সিএনবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে, এই সমঝোতাকে ইউটিউব বা তাদের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর দায় স্বীকার হিসেবে গণ্য করা হবে না।
২০২১ সালের মাঝামাঝি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার (বর্তমান এক্স) ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে। পরে ট্রাম্প আলাদা আলাদা মামলা করেন, অভিযোগ করে যে এসব প্ল্যাটফর্ম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাকে মতপ্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
গত নভেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই প্রযুক্তি জায়ান্টরা একে একে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ২৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে। ফেব্রুয়ারিতে এলন মাস্কের এক্সও (সাবেক টুইটার) প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে একই ধরনের সমঝোতায় পৌঁছায়।
তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট শিবিরে সমালোচনা রয়েছে। আগস্টে সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনসহ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর গুগল ও ইউটিউব প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠান। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে এমন সমঝোতা হয়তো ‘কুইড-প্রো-কো’ চুক্তির মতো হতে পারে, যা প্রতিযোগিতা, ভোক্তা সুরক্ষা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায় থেকে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে। তাদের মতে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলো ফেডারেল ঘুষবিরোধী আইনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অবশেষে এই সমঝোতার মাধ্যমে ইউটিউব ও ট্রাম্পের মধ্যে দীর্ঘদিনের আইনি টানাপোড়েনের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটল।