গরমের সময়ে কাঁঠাল পাকতে শুরু করলেও বর্ষার মৌসুমেই এটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে রসালো ও সুমিষ্ট। মেঘলা আকাশ, টিপটিপ বৃষ্টির শব্দ আর জানালার পাশে শুয়ে থাকার মুহূর্তগুলো যেন আরও পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মুড়ির সাথে একটি পাকা কাঁঠাল থাকলে। কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি—কখনো হালকা, কখনো ভারী। এমন আবহাওয়ায় যেন কাঁঠালের সুগন্ধই মনকে আবার নতুন করে জাগিয়ে তোলে।
জাতীয় ফল কাঁঠালের শুধু মিষ্টি কোষই নয়, এর বিচি ও খোসাও খাওয়ার উপযোগী। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি নানারকম রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। কাঁঠালে থাকা উপকারী উপাদান আলসারের উপশমে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।
এই ফলে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। পটাসিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং স্ট্রোক ও হৃদরোগের সম্ভাবনা হ্রাস করে। ভিটামিন ‘সি’ থাকার কারণে এটি ত্বক সুস্থ রাখে, রোদের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এছাড়াও, কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে বলে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাঁঠালে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, যা হাড় গঠনে ও শক্তিশালী রাখতে সহায়ক। আয়রন থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতেও সহায়তা করে।
জানা যায়, কাঁঠালের মাত্র ১০টি কোষেই রয়েছে একটি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের সমান গুণাগুণ। এটি হজমশক্তি বাড়ায় ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই বলা যায়, ঝুম বৃষ্টিতে একটুকরো পাকা কাঁঠাল শুধু স্বাদই নয়, স্বাস্থ্যেরও পূর্ণতা এনে দেয়।