চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ সেশনটা স্বস্তির ছিল না বাংলাদেশের জন্য। প্রথম ইনিংসে বড় লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ বিকেলে মাত্র ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ২৯১ রান, ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৪ রানের লিডে রয়েছে টাইগাররা।
দিনের শুরুতে প্রথম ইনিংস চালিয়ে যেতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথম দিন ৯ উইকেটে ২২৭ রান করা সফরকারীরা দ্বিতীয় দিনে আর রান যোগ করতে পারেনি। তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে (৬ উইকেট) ২২৭ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয় আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় এবং সাদমান ইসলাম গড়েন ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২০২২ সালের পর টেস্টে আবারও শতরানের ওপেনিং জুটি পেল বাংলাদেশ। বিজয় নিজের ক্যারিয়ারসেরা ৩৯ রান করে মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউ হন। এর আগে টেস্টে কখনও এক ইনিংসে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
অপরদিকে, সাদমান ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। লাঞ্চের আগেই অর্ধশতক পূর্ণ করে তিনি ১৪২ বলে সেঞ্চুরি করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, আগেরটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই করেছিলেন হারারেতে।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু চা বিরতির আগে মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মুমিনুল (৩৩) আউট হন। পরের ওভারে রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করে ফেরান শতরান করা সাদমানকেও (১২০)।
এরপর শান্ত (২৩) ও মুশফিকুর রহিম (৪০) ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান মুশফিক। জাকের আলি (৫) ও নাঈম হাসান (৩) দ্রুত ফিরলে হঠাৎই চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে দিনের শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬*) ও তাইজুল ইসলাম (৫*) ব্যাট হাতে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আর কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেননি।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা, যিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তৃতীয় দিনের শুরুতে যদি জিম্বাবুয়ে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে তারা। তবে মিরাজ-তাইজুল জুটি আরও কিছুক্ষণ টিকে গেলে বাংলাদেশ আরও মূল্যবান লিড অর্জন করতে পারবে, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
তৃতীয় দিনের সকালের লড়াই এখন এই টেস্ট ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।