২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে—এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ২০১৭ সালের নারী বিশ্বকাপ ও ২০১৯ সালের পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এটি হবে টানা তৃতীয়বারের মতো লর্ডসে আয়োজিত কোনো আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনাল। উল্লেখযোগ্যভাবে, আগের দুটি ফাইনালেই শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপটি শুরু হবে ২০২৬ সালের ১২ জুন, যেখানে অংশ নেবে ১২টি দল। দলগুলো দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে মোট ৩০টি লিগ ম্যাচ। জমজমাট এই আসরটি আয়োজনের জন্য লর্ডস ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছে আরও ছয়টি বিখ্যাত ভেন্যু: ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, হেডিংলি, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, দ্য ওভাল এবং ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এই সিদ্ধান্তকে “যুক্তিসঙ্গত ও প্রতীকি” বলে আখ্যায়িত করে বলেন, “লর্ডস শুধু ক্রিকেটের নয়, নারীদের খেলাধুলারও অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস। ২০১৭ সালের ‘সোল্ড আউট’ ফাইনাল আজও নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে এক মাইলফলক।” তিনি আরও বলেন, “এই বিশ্বকাপ কেবল একটি টুর্নামেন্ট নয়—এটি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবেও বিবেচিত।”
ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বলেন, “লর্ডসের মতো একটি মাঠে নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্ন। ২০২৬ সাল নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা শুধু বড়সড় আয়োজন নয়, বরং একটি বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা দিতে চাই—যেখানে থাকবে চমৎকার খেলা, দুর্দান্ত আয়োজন এবং দর্শকদের জন্য এক স্মরণীয় পরিবেশ।”
পুরো বিশ্ব এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই আসরকে সফলভাবে আয়োজনের জন্য। আর ২০২৬ সালের ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মে লর্ডস যেন আবারও সাক্ষী হতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন ইতিহাসের—যেখানে নারীদের ব্যাট-বলের ঝলকে গর্জে উঠবে ক্রিকেটের মহাকাব্য।