সুস্থ-সবল দিন শুরু করার পর হঠাৎ বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা অনেকের কাছেই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন মনে হয়, বুঝি সব শেষ—হয়তো ‘মিনি’ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এর মূল কারণ হলো, হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য বুকব্যথার উপসর্গ প্রায় একই রকম হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজে পার্থক্য করা কঠিন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় বুকের ব্যথার পেছনে হৃদ্রোগ দায়ী নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এর কারণ হয় অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা হজমজনিত সমস্যা। অ্যানেস্থেশিয়োলজি ও ইন্টারভেনশনাল পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কুনাল সুদ সম্প্রতি এক ভিডিওতে হার্ট অ্যাটাক ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের উপসর্গ আলাদা করে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, যেকোনো অস্বাভাবিক বুকের ব্যথা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ উপসর্গ:
বুকে চাপ, টান বা চেপে ধরা অনুভূতি।
ব্যথা কাঁধ, ঘাড়, চোয়াল বা হাতে ছড়িয়ে পড়া।
মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সাধারণ উপসর্গ:
খাবারের পর বা শোয়ার সময় বুকে জ্বালাপোড়া।
মুখে টক স্বাদ আসা।
গিলতে অসুবিধা হওয়া।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি।
ডা. সুদের মতে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়াতে ছোট ছোট মিল খাওয়া, রাতের খাবারের পর স্ন্যাক্স না খাওয়া এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা কার্যকর। মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ ভিন্ন হতে পারে—বুকের ব্যথার বদলে উপরের পিঠে চাপ, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ, অস্বাভাবিক বুকের ব্যথা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধে অল্প পরিমাণে ও ঘনঘন খাবার খান, খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না, আর হজমে সাহায্য করতে চাইলে চুইংগাম চিবোতে পারেন।”