গরম থেকে রক্ষা পেতে এসি এখন অনেকের ঘরে-অফিসে অপরিহার্য। তবে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই যন্ত্রটি ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে—যেমন বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ড, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সচেতন থেকে কিছু নিয়ম মানলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
এসি বিস্ফোরণের প্রধান কারণগুলো হলো:
ভুল বৈদ্যুতিক সংযোগ বা নিম্নমানের কেবল ব্যবহার, কনডেনসারে ময়লা জমে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত বা কম গ্যাস থাকায় ভেতরে চাপ তৈরি হওয়া, সঠিকভাবে ভ্যাকুয়াম না করা, পাইপলাইনে ব্লকেজ, আউটডোর ইউনিটের চারপাশে পর্যাপ্ত স্পেস না রাখা, এবং নকল বা নিম্নমানের এসি ব্যবহারের কারণে বিস্ফোরণের ঝুঁকি দেখা দেয়।
দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়:
প্রতি ৩–৬ মাসে সার্ভিসিং করান, কনডেনসার ও পাইপলাইন পরিষ্কার রাখুন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালানোর আগে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে চেকআপ করান। ইলেকট্রিক সেফটির জন্য সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ও ক্যাবল ব্যবহার করুন। গ্যাস চার্জ দেয়ার আগে অবশ্যই ভ্যাকুয়াম সঠিকভাবে করতে হবে এবং শুধুমাত্র বিশ্বস্ত টেকনিশিয়ানকেই দায়িত্ব দিন।
ইনস্টলেশনের সময় খেয়াল রাখুন:
১ টন এসির জন্য অন্তত ১৫০ বর্গফুট জায়গা রাখুন। আউটডোর ইউনিট খোলা জায়গায় বসান, যেন গরম হাওয়া সহজে বের হতে পারে। পাশাপাশি একাধিক এসি বসানো এড়িয়ে চলুন। এছাড়া নকল এসি বা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবেন না, বরং ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যেন সেফটি ও সার্ভিস নিশ্চিত থাকে।
এসি চালু অবস্থায় কোনো অস্বাভাবিক গন্ধ, শব্দ বা কাঁপুনি টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে টেকনিশিয়ান ডাকুন। রান্নার ধোঁয়া, গরম খাবারের বাষ্প বা ধুলো-ময়লা থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।
অতএব, সচেতনতা, মানসম্পন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহার এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ—এই তিনটি মানলেই আপনি ও আপনার পরিবার নিরাপদে থাকতে পারবেন।