বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক ও ইউটিউব। ইনকামের সুযোগ থাকায় দিন দিন বাড়ছে এ দুই মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা। তবে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের দিক থেকে ইউটিউব ফেসবুকের তুলনায় অনেক পুরোনো ও প্রতিষ্ঠিত মাধ্যম। তাই অনেকের কৌতূহল—আসলে কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় বেশি হয়?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেসবুকে প্রতি ১০ লাখ ভিউ থেকে আয় হয় প্রায় ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার। অন্যদিকে ইউটিউবে একই ভিউ থেকে আয় হয় প্রায় ২০০০ ডলারের বেশি। অর্থাৎ আয়-রোজগারের দিক দিয়ে ইউটিউব অনেক এগিয়ে।
ফেসবুকে মনিটাইজেশনের জন্য রয়েছে স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি সুবিধা। অন্যদিকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পনসরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপসহ নানা উপায়ে আয় করা যায়।
মনিটাইজেশনের শর্তও দুই প্ল্যাটফর্মে ভিন্ন। ফেসবুকে সাধারণত একটি পেজে অন্তত ১০ হাজার লাইক এবং শেষ ৬০ দিনে ৩০ হাজার মিনিট ভিউ থাকলেই মনিটাইজেশন সক্রিয় হতে পারে। ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম। তবে শর্ত যাই হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই নিজস্ব কনটেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।
সব দিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আয়ের ক্ষেত্রে ইউটিউব ফেসবুকের তুলনায় অনেক এগিয়ে। কারণ ইউটিউবে দর্শকের এনগেজমেন্ট এবং ডেটা ব্যবহার অনেক বেশি, যা মনিটাইজেশন ও আয়ের সুযোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।