চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর। এ সময় চাঁদ তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছাবে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় চাঁদকে বড়, উজ্জ্বল ও রঙে আরও গভীর মনে হবে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সুপারমুনকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’, যা প্রতি বছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দেখা যায়।
জ্যোতির্বিদদের মতে, ২০২৫ সালে মোট তিনটি সুপারমুন দেখা যাবে—এর মধ্যে প্রথমটি হবে এই অক্টোবরের হার্ভেস্ট মুন। এ সময় সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে, ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হয়। এই সময় পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণের তুলনায় বড়, সোনালি-কমলা আভাযুক্ত এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখায়, বিশেষ করে যখন এটি দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থান করে।
সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, কিন্তু হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ তুলনামূলক দ্রুত উদিত হয় এবং টানা কয়েক রাত আকাশে দৃশ্যমান থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখায়।
পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (SUPARCO) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের সুপারমুন পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকেই দেখা যাবে—অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকেও দেখা সম্ভব। গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী, এই সুপারমুন গড় পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হবে। সেই রাতে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬১,৪০০ কিলোমিটার (২,২৪,৫৯৯ মাইল) দূরত্বে অবস্থান করবে।
জ্যোতির্বিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকবে, তখন সেটি আরও বড় এবং সোনালি-কমলা রঙের দেখা দেবে। সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই—শুধু খোলা আকাশ ও আলোদূষণমুক্ত জায়গা হলেই যথেষ্ট।