অনেকে একসময় মনে করেছিলেন, মিউজিক্যাল সিনেমার যুগ হয়তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে নির্মাতারা শুধু সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন রূপে দর্শকদের সামনে মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র উপহার দেওয়ার জন্য। এমনই পাঁচটি সাড়া জাগানো মিউজিক্যাল সিনেমার কথা আজ বলা হলো, যা দর্শক হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
ক্যাবারেট (১৯৭২) — বব ফসে পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে লিজা মিনেলি, মাইকেল ইয়র্ক ও জোয়েল গ্রে অভিনীত ১৯৩০-এর দশকের বার্লিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা এবং সেই সময়ের মানুষের জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। একাধিক অস্কার জেতা এই সিনেমাটি সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে কাল্ট ক্ল্যাসিক হিসেবে বিবেচিত।
সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন (১৯৫২) — জিন কেলি ও স্ট্যানলি ডোনেন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি সর্বকালের সেরা মিউজিক্যাল হিসেবে খ্যাত। চমৎকার কোরিওগ্রাফি, স্মরণীয় গান এবং অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে হলিউডে নির্বাক থেকে সবাক চলচ্চিত্রে রূপান্তরের গল্প এখানে ফুটে উঠেছে।
দ্য উইজার্ড অব ওজ (১৯৩৯) — ভিক্টর ফ্লেমিং, জর্জ কুকর ও নর্মান টাউরগ পরিচালিত এই রূপকথার মিউজিক্যালে ডরোথি গেইল ও তার কুকুর টোটোর জাদুময় ওজ দেশে অভিযানের কাহিনি বলা হয়েছে। জুডি গারল্যান্ডসহ বিখ্যাত অভিনেতাদের অভিনয় এটিকে কালজয়ী করেছে।
অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস (১৯৫১) — ভিনসেন্ট মিনেলি পরিচালিত এই সিনেমাটি জিন কেলির অসাধারণ নৃত্য ও কোরিওগ্রাফির কারণে বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে। আটটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি জয়, যার একটি সেরা চলচ্চিত্র, এটিকে ইতিহাসে স্থান দিয়েছে।
ন্যাশভিল (১৯৭৫) — রবার্ট আল্টম্যান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি টেনেসির ন্যাশভিল শহরের প্রেক্ষাপটে তৈরি। এখানে কান্ট্রি ও গসপেল মিউজিক জগতের মানুষের স্বপ্ন, জীবন ও সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠেছে। সংগীত ও সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মেলবন্ধন এটিকে সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী সিনেমায় পরিণত করেছে।