গত ৫ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে,যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বিউমন্ট শহরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ক্রিকেট কার্নিভাল টুর্নামেন্টের প্রথম সিজন অত্যন্ত সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাসের মধ্যে একত্রিত হয়ে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
এই টুর্নামেন্টে মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে, যেগুলো দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। গ্রুপ A তে ঢাকা নাইট রাইডার্স,নেদারল্যান্ড ইগলস ও ইউএসএ সুপার জায়ান্টস এবং গ্রুপ B তে বিউমন্ট বেঙ্গল টাইগার্স, বিউমন্ট লায়ন্স ও ব্ল্যাক ক্যাপস।
টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে, ঢাকা নাইট রাইডার্স এবং ইউএসএ সুপার জায়ান্টস দল দুটি সমানভাবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ভাগ করে নেয়। প্রতিযোগিতাটি ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং সমানভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, যার ফলে দু’টি দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্মান পেয়েছে।
টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি বাংলাদেশি ক্রিকেট কার্নিভাল। এই বিশাল আয়োজনের স্পনসরদের মধ্যে প্লাটিনাম স্পনসর দেসি মার্ট ইন্ডো-পাক গ্রোসারিজ, বিউমন্ট, টেক্সাস (তারা টুর্নামেন্টে একটি স্টল রাখবে) গোল্ড স্পনসর রুপোশীবাংলা গ্রোসারিজ রেস্টুরেন্ট, হিউস্টন, টেক্সাস এবং সিলভার স্পনসর প্রাইস অ্যান্ড কো. হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটার, সানশাইন হোলসেল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন আউটলেট। প্রাইজ মানি স্পনসর করেছেন হালাল সুপারমার্কেট, হিউস্টন, টেক্সাস ও বাংলা বাজার, হিউস্টন, টেক্সাস। খাদ্য অংশীদারদের মধ্যে প্লাটিনাম স্পনসর মঙ্ক’স ইন্ডিয়ান বিস্ট্রো, বিউমন্ট, টেক্সাস (তারা টুর্নামেন্টে একটি স্টল রাখবে) এবং গোল্ড স্পনসর তাজ গ্রিল অ্যান্ড বার, বিউমন্ট, টেক্সাস।
টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ সময়মতো শুরু হয়েছে। এমনকি কোনো কোনো ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয় যাতে দিনব্যাপী সূচি সুশৃঙ্খলভাবে এগোয়। খেলোয়াড়দের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তাদের অবশ্যই ম্যাচ শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে, যাতে ওয়ার্ম-আপ, টস এবং অন্যান্য প্রস্তুতি কার্যক্রম সময়মতো সম্পন্ন করা যায়। এই সময়ানুবর্তিতা আয়োজকদের দক্ষতা ও খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্বের নিদর্শন বহন করে।
বাংলাদেশি ক্রিকেট কার্নিভাল সিজন ১-এর সফল সমাপ্তি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ক্রীড়াপ্রীতি, ঐক্য ও সংস্কৃতির চেতনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই আয়োজনকে আরও বৃহৎ পরিসরে ও নিয়মিতভাবে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই উৎসবমুখর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিউমন্টের প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির ইতিহাসে।