বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকেরই চুল পাতলা হয়ে যেতে থাকে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। চুল পড়ার পেছনে পুষ্টির ঘাটতি, হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, জেনেটিক কারণ ছাড়াও আরও নানা বিষয় দায়ী হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে—অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার, অনিয়মিত জীবনযাপন, এবং থাইরয়েডজনিত সমস্যা। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত চুলের যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যার প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।
চুল পড়া অনেকের কাছেই মানসিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে অনেকে সমাধানের আশায় মাথা ন্যাড়া করে ফেলেন, বিশ্বাস করেন এতে চুল আরও ঘন ও মজবুতভাবে গজাবে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ন্যাড়া হওয়ার সঙ্গে চুল ঘন হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নেই।
ন্যাড়া হওয়ার পর নতুন চুল গজালে সেটি অনেক সময় ঘন মনে হয়, বিশেষত যখন চুল ছোট থাকে। মাথায় হাত দিলে তখন ঘনত্ব বেশি অনুভূত হয়। কিন্তু চুল বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় যে ঘনত্বে তেমন পরিবর্তন আসেনি। এর কারণ হলো—চুলের গোড়া যদি একবার শুকিয়ে বা মারা যায়, তাহলে সেই জায়গা থেকে আর নতুন চুল গজায় না।
অনেকেই বিশ্বাস করেন, মাথা ন্যাড়া করলে ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা ফলিকল আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং সেখান থেকে নতুন চুল গজায়। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো ‘লুকানো’ গোড়া থেকে চুল বের হয় না। চুলের ফলিকল সক্রিয় না হলে মাথা কামানো কোনো কাজে আসে না।
তবে ন্যাড়া হওয়ার একটি ব্যবহারিক উপকার আছে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের দীর্ঘ চুল বেশি ঝরে পড়ে। ন্যাড়া হওয়ার পর চুল ছোট থাকা অবস্থায় গজালে, তুলনামূলকভাবে তা সহজে পড়ে না। তবে এটিকে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান মনে করা ঠিক নয়।