গত ৭ এপ্রিল, ২০২৫ বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা বিশ্ব দরবারে তুলে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’।
এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কারগুলো তুলে ধরা, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
সামিটের মূল অনুষ্ঠানটি আগামী ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে দেশি-বিদেশি রাষ্ট্রদূত, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা অংশগ্রহণ করবেন। প্রথম দুই দিনে শুধুমাত্র আমন্ত্রিত বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কিছু পার্শ্ব ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজক সূত্র থেকে জানা গেছে, ৫০টি দেশ থেকে ২,৩০০ জনের বেশি প্রতিনিধি সামিটে অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে ৫৫০ জনেরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা বিভিন্ন আলোচনা সভা, বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব এবং পরিচিতিমূলক সেশনে অংশ নেবেন।
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামের কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন এবং ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ দেশের প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলো পরিদর্শন করবেন। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ‘বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ পরিদর্শন করা হবে। একই দিনে বিশ্বব্যাংক এবং আইএলও-এর সঙ্গে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে একাধিক চুক্তি সই হবে। ৯ এপ্রিল একটি বিশেষ আয়োজনে স্টারলিংকের সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের শেষ দিনে ডিজিটাল অর্থনীতি, পোশাক খাত, স্বাস্থ্যসেবা ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে ব্রেকআউট সেশন আয়োজন করা হবে।
সামিটে অংশগ্রহণ করবেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশে বাণিজ্য দূত রোজি উইন্টারটন, উবারের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইক অর্গিল এবং স্যামসাং সি অ্যান্ড টি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট কিয়ংসু লি। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলনের সময় স্থিতিশীল বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে।
এই সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক খাত ও শিল্পাঞ্চলগুলোকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করা হবে। সম্মেলনটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।