কিশোর ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা জোরদারে বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। এখন থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো ইউজার যদি কাউকে ফলো না করে, তাহলে সেই ব্যক্তি আর ওই কিশোরকে ইনবক্সে কোনো ধরনের বার্তাই পাঠাতে পারবেন না—সে যতই পরিচিত বা বিখ্যাত হোক না কেন। এর আগে সাধারণ পাঠ্য বার্তা পাঠানো যেত, তবে সেটাও এখন নিষিদ্ধ। ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে, এটি তাদের ‘ডিফল্টভাবে নিরাপদ’ রাখার উদ্যোগের অংশ।
প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নজরদারি আরও কড়া
যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কোনো কিশোর ইউজারকে মেসেজ করতে চায়, ইনস্টাগ্রাম প্রথমে যাচাই করবে তারা একে অপরকে ফলো করে কি না। আর যদি সেই প্রাপ্তবয়স্ক আগে কোনো ‘সন্দেহজনক আচরণ’-এর কারণে রিপোর্টেড হয়ে থাকে, তবে তার পক্ষে কিশোরদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই আর সম্ভব হবে না।
প্রাইভেসি সেটিংসে বাড়তি সতর্কতা
নতুন করে ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হওয়া কিশোরদের অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট হিসেবেই ডিফল্টভাবে তৈরি হবে। ইনস্টাগ্রাম নিয়মিত তাদের প্রাইভেসি রিভিউ করার আহ্বান জানাবে—কে ট্যাগ করতে পারবে, কে মেনশন করতে পারবে, অথবা কে তাদের স্টোরি দেখতে পারবে—এসব তারা নিজে নির্ধারণ করতে পারবে। যদি কেউ প্রোফাইল পাবলিক রাখে, তাহলে তাকে সতর্কবার্তাও পাঠাবে প্ল্যাটফর্মটি।
এই পরিবর্তনের পেছনে কারণ
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর চাপ বাড়ছে—তরুণদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য, অনৈতিক বার্তা ও আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ থেকে এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কঠোর সরকারি আইন আসার আগেই ইনস্টাগ্রাম নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
অভিভাবকদের জন্য স্বস্তির বার্তা
এই নতুন আপডেট অভিভাবকদের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে। তাদের সন্তানরা এখন আগের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবে। যদিও শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কখনোই সম্ভব নয়, তবে ইনস্টাগ্রামের এই পদক্ষেপ কিশোরদের ডিজিটাল সুরক্ষা আরও দৃঢ় করবে।