দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টির ছোঁয়া কিছুটা স্বস্তি দিলেও ঘরের পরিস্থিতি হয়ে পড়ে গুমোট ও অস্বস্তিকর। দরজা-জানালা বন্ধ রাখার ফলে ঘরে বাতাস চলাচল কমে যায়, এবং এই অবস্থায় অনেকে এসি চালানোর আশ্রয় নেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—ঝড়বৃষ্টির সময় এসি চালানো কতটা নিরাপদ?
বজ্রপাত ও এসির ক্ষতির আশঙ্কা
হ্যাভকডটকম–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়বৃষ্টির সময় এসি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এই সময় প্রকৃতিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ চমকায়, যার শক্তি প্রায় ৫০০ কোটি জুল পর্যন্ত হতে পারে। যদি এই তড়িৎ এসির সার্কিটে ঢুকে পড়ে, তাহলে মুহূর্তেই যন্ত্রটি বিকল হয়ে যেতে পারে। ফলে তা শুধু এসির ক্ষতি নয়, হতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনারও কারণ।
সার্কিট ব্রেকার থাকলেও আশঙ্কা থেকেই যায়
অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে সার্কিট ব্রেকার থাকলে ঝড়বৃষ্টিতে এসি চালানো নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবে তা সবসময় কার্যকর হয় না। কারণ বজ্রপাতের বিদ্যুৎপ্রবাহ এতটাই তীব্র যে, অনেক সময় সার্কিট ব্রেকার কাজ করার আগেই এসির ক্ষতি করে ফেলে। এতে শর্ট সার্কিট থেকে শুরু করে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
আর্থিং বা গ্রাউন্ডিং থাকা মানেই নিশ্চিন্ত থাকা নয়
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বাসাতেই আর্থিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু সেটিও ঝড়বৃষ্টির সময় সবসময় সুরক্ষা দিতে পারে না। বাস্তবে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে যেখানে আর্থিং থাকা সত্ত্বেও এসি চালানোর ফলে যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়েছে।
নিরাপদ থাকার উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝড় শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব এসি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বজ্রপাত বা প্রবল বৃষ্টির সময় এসি চালানো থেকে বিরত থাকা ভালো। বিশেষ করে এসির বাইরের ইউনিটে যদি পানি ঢুকে পড়ে, তাহলে শর্ট সার্কিট বা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। যদিও এমন ঘটনা সবসময় ঘটে না, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এটি মেনে চলাই নিরাপদ।