২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার আর মাত্র কিছুক্ষণ বাকি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের অসলো থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে কে হচ্ছেন এ বছরের শান্তির নোবেল বিজয়ী। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র কৌতূহল ও জল্পনা—কে জিতবেন মানবতার এই সর্বোচ্চ সম্মাননা?
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেই দাবি করেছেন, “আমি সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছি, তাই আমি নোবেলের যোগ্য।” তবে তার শাসনামলে গ্রিনল্যান্ড দখলের প্রস্তাব, অভিবাসী নির্বাসন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা কমানোসহ নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক থাকলেও শান্তির পুরস্কারের দৌড়ে রয়েছেন আরও ১০ জন ব্যক্তি ও সংগঠন। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন—
১. দ্য ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস, সুদানের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে তরুণদের মানবিক উদ্যোগ।
২. ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।
৩. রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, তথ্যের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার নিরাপত্তায় কাজ করা সংস্থা।
৪. মাহরং বালুচ, পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী।
৫. আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC), যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় প্রতিষ্ঠান।
৬. ইউলিয়া নাভালনায়া, প্রয়াত রুশ বিরোধী নেতা নাভালনির স্ত্রী ও মানবাধিকার আন্দোলনকারী।
৭. চৌ হ্যাং-তুং, হংকংয়ের প্রভাবশালী মানবাধিকার কর্মী।
৮. স্ট্যান্ডিং টুগেদার, ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার যৌথ উদ্যোগ।
৯. শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক শান্তি মধ্যস্থতাকারী।
১০. ন্যাটো, ইউরোপে নিরাপত্তা বজায় রাখা ও ইউক্রেনকে সমর্থন প্রদানকারী সামরিক জোট।
পুরো বিশ্বের চোখ এখন অসলোতে—কে জিতবেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার, সেই ঘোষণার অপেক্ষায় সারা মানবতা।