স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার বাংলাদেশের চিফ অ্যাডভাইজার প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে দোহায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এই বৈঠকটি গত সপ্তাহে পৃথিবীনা সামিটে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে আনার চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের পর, ড্রেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে মে মাসের মধ্যেই এই সেবার প্রযুক্তিগত রোলআউট শুরু হতে পারে।
স্পেসএক্সে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ড্রেয়ার, যিনি এলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন, প্রফেসর ইউনুসের কাছে বলেছেন, “আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমি আমার টিমকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার জন্য বলেছি, যাতে মে মাসে আমরা সেবাটি প্রযুক্তিগতভাবে চালু করতে পারি।”
প্রফেসর ইউনুস বৈঠকে দেশের মানুষের ব্যাপক প্রত্যাশা এবং সেবার আগমন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল খবর। মানুষ দিন গুনছে। এবং যখন সময় আসবে, সেটা অবশ্যই একটি বড় উদযাপন হবে।”
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমান সহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল স্টারলিঙ্ক সেবা চালু করার জন্য শেষ মুহূর্তের কার্যক্রম এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি।
ড্রেয়ার এই অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ।” স্টারলিঙ্কের কার্যক্রমের পাশাপাশি পেপ্যালেরও ভূমিকা থাকতে পারে, যা বাংলাদেশে স্পেসএক্সের ডিজিটাল লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হওয়ায়, বাংলাদেশ শিগগিরই স্টারলিঙ্কের গ্লোবাল স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা দেশের গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত মানের ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করবে।